Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি: সুস্থ ও সবল বেড়ে ওঠার সঠিক গাইড

শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি: সুস্থ ও সবল বেড়ে ওঠার সঠিক গাইড

শিশুর সঠিক পুষ্টির গুরুত্ব

শিশুর বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনের জন্য সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে শিশুর অপুষ্টি ও পুষ্টিহীনতা একটি বড় সমস্যা। তাই শিশুর খাবার পরিকল্পনায় প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও মিনারেল নিশ্চিত করতে হবে।

 

সঠিক পুষ্টির ফলে শিশুর উপকারিতা:

 

  • হাড় ও দাঁত মজবুত হয়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
  • মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

 

শিশুর বয়সভিত্তিক পুষ্টি পরিকল্পনা

 

১. ০-৬ মাস: বুকের দুধই সর্বোত্তম খাবার

  • জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো সবচেয়ে ভালো।
  • এতে শিশুর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও অ্যান্টিবডি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ৬ মাসের আগে গরুর দুধ, মধু, সলিড খাবার এড়িয়ে চলুন।

 

২. ৬-১২ মাস: পরিপূরক খাবার শুরু করুন

  • ৬ মাসের পর শিশুর জন্য মায়ের দুধের পাশাপাশি সলিড খাবার দিতে হবে।
  • নরম ও সহজপাচ্য খাবার দিন, যেমন—
    ✅ ভাত ও ডালের মিশ্রণ
    ✅ আলু, মিষ্টি কুমড়া ও গাজরের পেস্ট
    ✅ কলা ও পেঁপে ম্যাশ করা
  • প্রতিদিন ১-২ চামচ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়ান।

 

৩. ১-৩ বছর: সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করুন

✅ প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন—

  • প্রোটিন: মাছ, ডিম, মুরগি, দুধ
  • কার্বোহাইড্রেট: ভাত, রুটি, আলু
  • ভিটামিন ও মিনারেল: শাকসবজি, ফল
  • ফ্যাট: ঘি, বাদাম, তিলের তেল

❌ এড়িয়ে চলুন—

  • অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি খাবার
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার (বিস্কুট, চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস)

 

৪. ৪-৬ বছর: স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন

  • শিশুকে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করান।
  • কোল্ড ড্রিংক ও ফাস্টফুড খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনুন।
  • প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • শারীরিক অ্যাক্টিভিটি বাড়াতে খেলাধুলায় উৎসাহ দিন।

 

বাংলাদেশি শিশুর খাবার পরিকল্পনা

 

সকালের নাশতা:

  • ওটস, সুজি বা সবজি খিচুড়ি
  • দুধ ও কলা

দুপুরের খাবার:

  • ভাত, মাছ বা ডিম
  • ডাল ও সবজি

বিকেলের নাশতা:

  • সিজনাল ফল (আম, পেয়ারা, পেঁপে)
  • হাতে বানানো পিঠা বা রুটি

রাতের খাবার:

  • নরম ভাত বা রুটি
  • ডাল, মুরগি বা সবজি

 

শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করণীয়

✔ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
✔ শিশুকে নিয়মিত পানি পান করান।
✔ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন C ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিন।
✔ বেশি টিভি বা মোবাইল স্ক্রিনের বদলে খেলার সময় দিন।


 

বাংলাদেশি মা-বাবাদের জন্য বিশেষ পরামর্শ

  • শিশুর পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হোন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • বাজারের খাবারের বদলে ঘরে তৈরি খাবারে গুরুত্ব দিন।
  • পরিবারের খাবারের তালিকা শিশুর জন্য উপযুক্ত কিনা তা খেয়াল করুন।

 

শেষ কথা

শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য। সুষম খাদ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে শিশুকে একটি সুস্থ জীবন উপহার দিন।

শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে Babai.com.bd-এর ব্লগ পড়তে থাকুন! 😊